গত শুক্রবার বাঘেরহাটে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকা’র নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মিরপুরে বসবাসরত সাংবাদিক বৃন্দরা।
রাজধানী মিরপুরে ৬ অক্টোবর বিকেলে ৪.০০ টায় মিরপুর ১০, স্বাধীনতা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রিন্ট মিডিয়া,ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও অনলাইন সাংবাদিক সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আমরা গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকান্ড দেখেছি, গত শুক্রবার হায়াত উদ্দিনকে দেখলাম আমরা সাংবাদিকেরা কোন দলের নয়, আমাদের এক এক জনের মতাদর্শ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, আর এটা হওয়াটাই সাভাবিক কিন্ত কর্মক্ষেত্রে আমরা সবাই এক। দিনশেষে আমরা সবাই সাংবাদিক, আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় আমাদের সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়, মিথ্যা মামলা দেয়া হয়, হুমকি দেয়া হয়। আর আমরা শুধু মানববন্ধনই করে যাই আমরা সাংবাদিক নিয়োগ সহ বিভিন্ন নীতিমালা ও প্রয়োগ চাই। আজও ঢাকার উত্তরা বিআরটিএ দুরন্ত সময় পত্রিকা’ র সাংবাদিক সুমন খানের উপর হামলা করা হয়েছে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তারা বলেন, সাংবাদিকেরা সাংবাদিকতা করবেন। রাজনীতি করবেন না, এক সাথে দুটি হয়না,তিনি (হায়াত)একটি রাজনৈতিক দলের হওয়ায় দলটি এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি যা খুবই দুঃখ জনক। তাই বলতে চাই আমাদের রাজনীতি করা উচিত না বলেও বক্তব্যে বলাহয়, দ্রুত দোষীদের শাস্তি ও গ্রেফতার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য গত শুক্রবার বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মা হাসিনা বেগম সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হায়াত নিজ বাড়ির কাছে সিদ্দিকের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী এসে তাকে ঘিরে ধরে। একজন সন্ত্রাসী জিজ্ঞেস করে, ‘তুই কোন হাত দিয়ে লিখিস, সেই হাতটা একটু দেখা’। এরপর তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয় হায়াত উদ্দিনকে।
নিহত এস এম হায়াত উদ্দিন (৪০) দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এবং বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একজন নেতা ছিলেন।
প্রধান আসামি মো. ইসরাইল মোল্লা একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ্ কেয়ার সোসাইটির বাগেরহাট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক।
Leave a Reply