তারা প্রতিদিন দেশের বৃওশীল, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাধারণ জনগণ, ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং সঙ্গে এ আইয়ের মাধ্যমে নারীর ছবি যোগসাজশ করে, মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারি দিয়ে নিউজ তৈরি করে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ
নাম্বারে পাঠিয়ে মোটা অংঙ্কের চাঁদা দাবি করেন এবং একেক সময় একেক নাম্বার দিয়ে ফোন দেয় । যদি কোন ব্যক্তি তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাহলে তার ছবি দিয়ে তাদের ভুয়া ফেসবুক পেজ এবং ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা নিউজ দিয়ে তাদের হয়রানি শিকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি ব্যক্তি বা গ্রুপ নামে-বেনামে ‘অনলাইন টিভি’, ‘ফেইসবুক লাইভ টিভি’, ‘ডিজিটাল নিউজ’, ‘লোকাল টিভি’ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে পেইজ খুলে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে। তারা কোনোরূপ প্রেস কার্ড বা সরকারি স্বীকৃতি ছাড়াই, মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক,ব্যক্তিগত, পারিবারিক বিবাদ, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউজ তৈরির নামে কাজে লাগিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক সংগঠনের প্রোগ্রামে এরাই সামনের সারির চেয়ারে বসে অথবা দাড়িয়ে ছবি তোলা বা ভিডিও’র জন্য ঠেলাঠেলি করতে থাকে।
সচেতন মহলের মতে, অল্প খরচে পেইজ খুলে ‘মিডিয়া’ নাম ব্যবহার করা সহজ হওয়ায় প্রতারকরা এই সুযোগ নিচ্ছে। তাই ভুয়া নিউজ চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে উঠেছে।
প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরুতে না পারা, শিক্ষাগত যোগ্যতা অসম্পন্ন থাকার পরেও এরা নিজেদের বড় মানের ও বড় মাপের গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এসকল কথিত ভুয়া সাংবাদিকদের কারণে সত্যিকারের প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার মান আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অপ-সাংবাদিকতা।
এসব প্রতারক চক্র সাব- রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, এল জিডি, বন বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ফোনে মেসেজ দিয়ে মোট অংঙ্কের চাঁদা দাবী করে। এর গন্ডি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকায়ও এসব ভুয়া টিভি/অনলাইন নিউজ পেইজ সক্রিয় হয়ে উঠেছে ।
Leave a Reply