এরকম কথা উঠে আছে গত মঙ্গলবার সময় বেলা ১২:৩০ বাজে আব্দুলা নামে এক গ্রহীতা তার জমি রেজিস্ট্রি করতে আছে উওরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধানে কাজে তখনি আমরা উপস্থিত হই উওরা অফিসে সামনে চলে অনেক হইহোল্লা তখন আব্দুলা নামে সেই ব্যক্তি বলে ওঠে এরকম অফিস আমি কখন দেখিনি যেখানে কথা বলার চাইতে টাকা চলে বেশি একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে আইসি তার আগে কয় সাব রেজিস্ট্রারের টাকা আগে দিতে হয়বো তা না হয়লে দলিলে স্যার সাক্ষর করবো না এমন কথা বলেন ঐ অফিসের এক দলিল লেখক।
এ কথা শুনার পর আমাদের অনুসন্ধানের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। দেখি উওরা অফিস বলতে আসলে মন হয় ঘুষের স্বর্গরাজ আঙ্গুলে ছাপ দেওয়ার সময় ঐ টেবিলের ব্যক্তিকে দিতে হয় মিষ্টি খাওয়ার জন্য ২০০ টাকা বলা হয় মিষ্টি খাওয়ার কথা
কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ঘুষের আরেক নাম হচ্ছে মিষ্টিমুখ এরপর এগিয়ে গেলাম দলিলে নাম্বার দেওয়া হয় সেই টেবিলে দলিলের উপরে নাম্বার দেওয়ার পর রশিদ দেওয়ার সময় তিনি ও বলে উঠলেন মিষ্টি মুখ করার কথা আগের টেবিলের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি নিলেন অর্থাৎ ৩০০ টাকা নিলেন মিষ্টিমুখ করার জন্য দলিল নাম্বার (৪৬২০/৪৬২২) এসব টাকা হচ্ছে সরকারি ফির বাইরে
৫ ই আগষ্ট ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ পতনে পর নতুন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন আমাদের দেশে সাধারণ জনগন বেশি ভুক্তভোগী হন সাব রেজিস্ট্রি অফিস গুলোতে কারণ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি ফির বাইরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন অফিসের কর্মকতারা এখন থেকে আর কোন সাধারণ জনগণ সরকারি ফির বাইরে টাকা দিতে হবে না এতে করে সরকারি রাজস্ব বাড়বে সাথে জনগন ভুক্তভোগী কম হবে
এত কিছু করার পরেও থামছে না সাব রেজিস্ট্রারদের ঘুষ বানিজ্য উওরা সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা জালজালিয়াতি ও অবৈধ ভাবে ঘুষ বানিজ্য করে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদের পাহাড় তার নিজ গ্রাম মাদারীপুর জেলায় রয়েছে মাছের ঘের, ইট ভাটা, মাইন্ডিং মিল, মার্কেট,হাসপাতাল ও ৮ শতাংশ জমির উপর ৬ তলা বাড়ি,মাদারীপুর শহরে দু’টি ৫ তলা বাড়ি, ঢাকা শান্তিনগরে রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডি ফ্ল্যাট, বড় বড় হাউজিং কোম্পানিতে রয়েছে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে এবং চলেবেড়ান বিলাসবহুল গাড়িতে যার এক একটি গাড়ির দাম কোটি টাকা ছাড়িয়ে।
তার বিরুদ্ধে দুদক ও আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে অভিযোগের পাহাড় সেই অভিযোগ পএে রয়েছে তার এই অবৈধ সম্পদের বিবরণ এবং হোন্ডির মাধ্যমে তিনি বিদেশে তার এই কালো টাকা পাচার করে থাকেন যা সপ্নের মত মনে হলেও এটাই বাস্তব।
সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা ক্ষমতার জোরে বড় বড় লোভনীয় ষ্টোশনে চাকুরী করেন তেরখাদা, ফুলতলা, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, সদর সাতক্ষীরা, সদর মাগুরা, ধানমন্ডি ঢাকা, সদর কিশোরগঞ্জ, বর্তমানে উওরা, ঢাকা তেজগাঁও রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স কর্মরত আছেন। আর এসব অফিসে সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায় তার বিরুদ্ধে আগের অফিস গুলোতেও রয়েছে তার এই ভয়ংকর সিন্ডিকেটের কাহিনি যা রুপ কথা কেও হার মানাই।
এ সকল বিষয়ে উত্তরা সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লার সাথে তার অফিসে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা করতে রাজি হননি, পরবর্তীতে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনননি।
Leave a Reply