গাজীপুর চন্দনা চৌরাস্তার মোড়ে ভিডিও ধারন করায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে মিরপুরে বসবাসরত সাংবাদিকেরা শুক্রবার বিকেল চার টায় মিরপুর – ১০, গোল চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনের সম্পাদক এবং সাংবাদিকবৃন্দরা। উক্ত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আমরা গণ মাধ্যম কর্মী, আমাদের কাজ সত্য প্রকাশিত করা, অনুসন্ধানের মধ্যে দিয়ে সঠিক তথ্য জনসম্মুখে নিয়ে আসা।
কিন্তু আমাদের কেন নিরাপত্তা নেই, আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন সময়ে আমাদের উপর হামলা করা হয়, হুমকি দেয়া হয় এবং বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়, রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের ফোনে যতোটা গুরুত্ব দয়া হয় সাংবাদিকেের ফোনে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না, কিন্তু কেন? রাজনৈতিক নেতাদের কিছু হলে মিছিল মিটিং হয়, থানা ঘেরাও হয় অথচ আমরা সাংবাদিকরা কোন দলের নই, বক্তারা বলেন, তুহিনের হত্যাকারীদের গণমাধ্যেমের সামনে আনা হোক আমরা তাঁদের জাতির সম্মুখে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই এরা কারা? আজ আপনারা সাংবাদিক তুহিনের জন্য যেমন বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এসেছেন তেমনি মিরপুরের সংবাদকর্মী তথা বাংলাদেশের কোন সাংবাদিকের উপর হামলা হলে আমরা সকল সাংবাদিক মহল একই প্লাটফর্মে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয় এবং অবিলম্বে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়। একই দিন একই স্থানে মিরপুর প্রেস ক্লাব,মিরপুর -২, সনি সিনেমা হলে সামনে মিরপুর রিপোর্টারস ক্লাব পক্ষে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। উল্লেখ থাকে যে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন একটি চায়ের দোকানে চা খেতে ছিলেন এমন সময় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়, বাঁচার জন্য তিনি একটি মুদি দোকানে ঢুকে পরেন সন্ত্রাসীর দল সেখানেই তারা চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রেখে যায় ঘটনা স্থলেই তুহিনের মৃত্যু হয়। বাসন থানার পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ঘটনা স্থান থেকে পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সেখানে দেখা যায় একজন মহিলার সাথে এক ব্যক্তি বাক্যবিনিময় করছে এক পর্যায় পুরুষ ব্যক্তিটি মহিলার গায়ে হাত তোলার পরপরই চাপাতি হাতে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী এসে পুরুষ ব্যক্তিটিকে আঘাত করে পরে আর ক্যমেরায় তাকে দেখা যায়নি। ব্যক্তিটির নাম বাদশা মিয়া বলে জানা যায়। এ ঘটনায় স্বামী স্ত্রী সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply