1. monir5279@gmail.com : admi2019 :
  2. editor@pachattar.tv : Pachattar TV : Pachattar TV
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন

সর্বোচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল, মোতাওয়াল্লীকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৬ বার পঠিত
আজাহার আলী মন্ডলের ছবি।
জয়পুরহাটে সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে ওয়াকফ সম্পত্তি’ জবরদখল ও মোতাওয়াল্লীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কোড়লগাড়ী গ্রামের মৃত:আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে  মোঃ মাহবুবুর রহমান তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ‘ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল ওয়াকফ এস্টেট’ এর স্থায়ীভাবে মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ প্রাপ্তির কিছু দিন পরেই জনৈক আবুল কালাম বিদ্বেষ বশত হয়রানির উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ওয়াকফ অফিসে দু,টি মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় দু,টি অভিযোগ পত্রই খারিজ ও নথিজাত হয়।
পরে আবুল কালামের চাচা জনৈক আজাহার আলী মন্ডল হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অসৎ উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন।মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মোঃ মাহবুবুর রহমানকে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রেখে রায় আদেশ প্রদান করেন।সর্বোচ্চ আদালতের বিচারে মোঃ মাহবুবুর রহমানকে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রাখার পরেও জনৈক আজাহার আলী মন্ডল জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভুল ব্যাখ্যায় ও তামাদি আইনের লঙ্ঘন করে মিস আপীল নামীয় একটি মামলা দায়ের করেন।
জয়পুরহাট জেলা জজ আদালত মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ব্যাতিরেকেই জেলা জজ আদালত,অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত, পুনরায় জেলা জজ আদালত,সেখান থেকে আবার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত;এভাবে ৪০ বারের অধিক শুনানি অন্তে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১ম জয়পুরহাট মোঃ মাহবুবুর রহমানকে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রেখে মামলাটির রায় আদেশ প্রদান করেন।রায় প্রচার পরবর্তীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোর্ট থেকে মোতাওয়াল্লীকে উক্ত মামলাটির রায় আদেশের সার্টিফাইড কপিও সরবরাহ করা হয়।
পরে অতিরিক্ত জেলা জজ মহোদয়ের বদলির সুযোগে কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্রের সহায়তায় আদালতের রেকর্ড থেকে মামলাটির রায় আদেশ গায়েব করে কজলিস্ট এ শুনানির তারিখ চলমান রাখে।কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্র বাদীর নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ লাভের আশায় এবং নিজেদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বাদীকে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে রায় জালিয়াতির মামলা দায়েরের কু-পরামর্শ প্রদান করেন।
বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ইন্ধন দাতা এবং মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় আজাহার আলী মন্ডল (মোতাওয়াল্লী)র বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জয়পুরহাটে পি ৭১/২০২২ মামলা দায়ের করে।মামলাটি সম্পূর্ণরূপে বে-আইনী মর্মে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।এতো কিছুর পরেও এই ষড়যন্ত্রকারীদের দৌরাত্ব থামেনি।ওই একই চক্রের সহায়তায় এবং ইন্ধন দাতার ইন্ধনে আজাহার আলী মন্ডল আবারও জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যেই আজাহার আলী মন্ডল তার ইন্ধন দাতা ও দুষ্কৃতিকারী সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সহায়তায় প্রায় ১০ বিঘা ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখল করে এর ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি বে-আইনী ভাবে হস্তান্তর করে।
মোতাওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে,জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট ওয়াকফ সম্পত্তির দখল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে মোতাওয়াল্লীর বরাবরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জবর দখলকারীদেরকে আদেশ দেন।কিস্তু জবরদখলকারীরা ওয়াকফ সম্পত্তির দখল ছেড়ে নাদিয়ে বরং মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়েই চলেছে।এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলকারীদের নামে জি,ডি,করা হয়েছে।এছাড়া,ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলে,বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ওই চক্রটিই মোতাওয়াল্লীর বড় ভাই মোঃ ওমর শেখ মির্জা দুলুর (অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য)কাছে চাঁদা দাবি করে হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যার্থ হলে জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা হয় যা জয়পুরহাট আদালতে বিচারাধীন।এছাড়া,ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলকারী ইন্ধন দাতা ও সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজি,ধর্ষণের ন্যায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের জের ধরে সরকার পতনের পর ওই দিনই বিকালে সন্ত্রাসী চক্রের ৩ সদস্য  ১/ আজিজুল হক বাচ্চুর ছেলে রিপন ২/ মৃত আব্দুস সালাম মন্ডল এর ছেলে খাজায়ে নূর মোহাম্মদ বাবু, ৩/ মৃত আব্দুল জব্বার মন্ডল এর ছেলে আজিজুল হক বাচ্চু,সর্ব সাং কোড়লগাড়ী,ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট এর এবং ইন্ধন দাতার নেতৃত্বে তাদের   ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোতাওয়াল্লী ও তার বড় ভাই  মির্জা দুলুর বাড়িঘর দিবালোকে ভাংচুর,লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ১৪/৮/২০২৪ ক্ষেতলাল থানা এবং সেনা ক্যাম্প জয়পুরহাটে পৃথক দু,টি এজাহার দাখিল করা হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন।চক্রটির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনগত প্রতিকার চাওয়ার কারণে  চক্র ও ইন্ধন দাতা মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনের ব্যাপক অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

এছাড়াও মোতাওয়াল্লী অভিযোগ করেছেন,সম্প্রতি ওই ভূমি জবরদখলকারী,চক্র ও ইন্ধন দাতা মিলে ষড়যন্ত্র করছে, যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনে তারা ব্যর্থ হয় তাহলে যে কোন উপায়ে মোতাওয়াল্লীকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। পঁচাত্তর ডট টিভিকে এমনটায় জানিয়েছেন,ভূক্তভোগী মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবার। তিনি আরো বলেন, আমার সকল তথ্য সঠিক, আমি কোন মিথ্যার আশ্রয় নেইনি কেউ প্রমানিত করতে পারলে আমি মোতাওয়াল্লী পদ ছেড়ে দেব বলেও জানান। বর্তমানে  ভূক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহিনতায় দিনযাপন  করছে। সে কারনে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন,সুদৃষ্টির আশায়।

এ বিষযয়ে ক্ষেতলাল উপজেলার অস্থায়ী সেনা কাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত  সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সালেক তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং ক্ষেতলাল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রাজু আহমেদ তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদের সার্বিক বিষয়বস্তু ও ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল ও মামলা-হামলা সম্পর্কে জানার জন্য জবরদখলকারী আজাহার আলী মন্ডল এর বাড়ীতে গিয়ে দেখা না পেয়ে মুঠফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জবরদখলকারী আজাহার আলী মন্ডল সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা পঁচাত্তর ডট টিভিকে বলেন,তিনি একজন কুচক্রি লোভী,  প্রতারক, সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ। উচ্চ আদালতের রায় থাকার পরেও ওয়াকফ সম্পত্তির জবরদখল ছেড়ে দেননি। জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট এর পক্ষ থেকে জবরদখল ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ পেয়েও (মোতাওয়াল্লী)কে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানান ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছে, এ বিষয়ে মোতাওয়াল্লীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষেতলাল উপজেলার এসিল্যাণ্ড তদন্ত প্রতিবেদনে আজাহার আলী মন্ডলকে জবরদখলকারী হিসেবে উল্লেখ করে মোতাওয়াল্লীকে প্রতিবেদন দিয়েছেন।আইনের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারসহ তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 pachattar.tv
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesbazar_pachattar12