নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা, মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আরোপ অমান্য করে চলছে অটোরিকশাগুলো, অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা গুলো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে,রাজধানী ঢাকার মিরপুর–১,২,১০,১১,১২, কালসী, বাউনিয়া বাঁধ, ভাষান টেক, ইস্টার্ন্ড হাউজিং,
দুয়ারীপাড়া,নবাবের বাগ,গুদারাঘাট চিড়িয়াখানা রোডে বক্সনগর, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, কামাল হাউজিং,
শাহআলী,পল্লবী, কাফরুল সহ ডি.এম.পি’র মিরপুর জোনের সাতটি থানা এলাকায় চলছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা,ব্যস্ততম ঢাকার সড়ক জুড়ে যানযট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সেখানে আবার এই অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, প্রতিদিনই কোন না কোন দূর্ঘনার শিকার হচ্ছে যাত্রী ও পথচারী সহ চালক নিজেও। অনেকে আবার হাত পা ভেঙে বেকার হয়ে অসহায় হয়ে পরেছে, শুধু তাই নয় অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার ব্যাটারী চার্জদিতে প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে, কিছু কিছু গ্যারেজে মিটার বা স্পর্ট মিটার থাকলেও রাতে ব্যবহার হচ্ছে মেইন লাইন থেকে হুক লাগিয়ে নেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ। চুরি করা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সংকট হচ্ছে বিদ্যুৎ, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।প্রতিটি অটোরিক্সায় ব্যাটারী থাকে ১২ বোল্টের চারটি, কোনটিতে পানি,আবার কোনটিতে পাউডার ব্যাটারী, এচারটি ব্যাটারী চার্জার দিয়ে চার্জ হতে সময় লাগে ৬-৮ ঘন্টা।একটি গাড়ীতে ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় চার্জ হতে।
মিরপুর এলাকায় অটোরিকশা আছে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) এরও অধিক, তাহলে ২৫,০০০ অটোরিকশায় বিদ্যুৎ খরচ হয় ২৫,০০০×১০= ২৫,০০০০ কিলো ইউনিট বিদ্যুৎ
যা প্রায় ২.৫০ আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর সমান।বিদ্যুৎ আইন সপ্তম অধ্যায় অপরাধ ও দণ্ড ৩২/১ বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি অবৈধ ভাবে বাসগৃহে অথবা অন্যকাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিলে, ব্যবহিত চুরি করা বিদ্যুৎতের দ্বিগুন অনাদায় তিন বছর কারা দণ্ড,অথবা ৫০,০০০(পঞ্চাশ)হাজার টাকা
এই অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গুদারাঘাট এলাকায় অটোরিকশায় চার্জদেয়া অবস্থায় দেলোয়ার নামের এক অটোরিকশার গ্যারেজ মালিককে হাতেনাতে ধরেন ঢাকা ইলেকটিক সাপ্লাই কম্পানী লিমিটেড (DESCO), বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ শাহআলীর ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিষ্টেট। এসময় তাকে প্রথম বারের মতো সতর্ক করে জরিমানা করা হয়।এবিষয়ে মিরপুর জোনের চিপ ইণ্জিনিয়ার মোঃ রাশেদুর রহমানকে ফোন করা হলেও ফোন না ধরায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কাদের সহযোগিতায় চলছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা?
সাধারণত মানবিক দিক বিবেচনায় প্রতিবন্ধীদের জন্য অল্প কিছু সংখ্যক ব্যটারী চালিত অটোরিকশা চলতে দিলে তারই সুযোগ নিয়ে সুস্থ ব্যক্তিরাও প্রতিবন্ধীর কোটি লাগিয়ে চালাচ্ছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা,
প্রতিবন্ধীরা নিজেকেই নিজে সামাল দিতে যেখানে বেসামাল সেখানে যাত্রী ও পথচারীরা কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের? এই
অবৈধ ব্যটারী চালিত অটোরিকশার নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। চাঁদাবাজদের সাথে জড়িত বর্তমান ক্ষমতাসিল দলের রাজনৈতিক কর্মী পরিচয় দানকারী ব্যক্তি, কথিত নামধারী সাংবাদিক পরিচয়ে মার্কা যুক্ত ষ্টিকার ও ভিজিটিং কার্ড দিয়ে নেয়া হচ্ছে এই চাঁদা,প্রতি মাসেই ষ্টিকারের মার্কা পরিবর্তন করা হয়। প্রতিটি অটোরিকশার জন্য নেয়া হয় ১৮০০ – ২০০০ টাকা, যার পরিমান প্রায় ৫০০০০০০০(পাঁচ কোটি)
টাকা।
এই অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা পরিচালনা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, টি.এস.আই, হিজড়াদেরও নাম ব্যবহার হচ্ছে। এই চাঁদাবাজদের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে
Leave a Reply