তারা রোববার ২৪ ই নভেম্বর সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রিকশা চালকরা। এদিকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালকেরা মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, জুরাইন সহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করে,এতে করে প্রায় তিন ঘন্টা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চালক অনেকেই বলেন, আমরা কিস্তির টাকা দিয়ে অটোরিক্সা কিনেছি, কারো প্রতিদিন, আবার কারো সাপ্তাহে বা মাসে কিস্তির টাকা দিতে হয়, সংসার চালাতে হয় ছেলে- মেয়ে পড়াতে হয়, এখন যদি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে আমরা এতগুলো রিকশা চালক পরিবার পরিজন নিয়ে কি করবো, কিস্তির টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো।
আমাদের লাইসেন্স দেয়া হোক, যৌক্তিক রুট পারমিট দেয়া হোক, আমরা সরকারকে রাজস্ব দিতে চাই, চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে চাই না।
তারা আরো বলেন আমরা এর আগেও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা বন্ধের দাবীতে রাজ পথে নেমেছিলাম।
তখন আমাদের মৌখিক ভাবে চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছিলো, শুধু তাই-ই নয় গণঅভ্যর্থনে আমরাও রাস্তায় নেমেছিলাম। গত মঙ্গলবার আমাদেরকে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
আগামীকাল আশাকরি আমাদের পক্ষে ভাল কিছু রায় দেবেন আদালত। আমরা মহাসড়ক গুলোতে রিকশা চালাবো না, আমাদেরকে এলাকা ভিত্তিক রিকশা চালাতে দেয়া হোক বলেও দাবী করেণ। তারা বিক্ষোভ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন এবং কর্মসূচী স্থগিত করে, ২৫ ই নভেম্বর আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান জানান ও ভাল একটি সিদ্ধান্ত আদালত নেবেন বলে আশা করেন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম সিদ্দিকী।
এর আগে বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সেক্রেটারি মো. মমিন আলী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ চাওয়া হয়। তার পর পরই সড়কে অটোরিকশা বন্ধে অভিযানে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা মেট্রো পলিটনের ট্রাফিক পুলিশ।
Leave a Reply