রাজধানীর মিরপুর দারুসসালাম থানার অন্তর্গত গৈদ্দারটেক এলাকায় চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যু দখলবাজদের হাত থেকে মুক্তি চেয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের কাছে গৈদ্দারটেক বাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ লেখেন, একচ্ছত্র অধিপত্য ও রাজত্ব কায়েম করছেন বাবুল মিস্ত্রি গং,তারা এতোই বেপরোয়া ও ভয়ংকর যে তারা যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পিছপা হয়না। এই বাবুল মিস্ত্রী দারুসসালাম থানা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র যুগ্ম আহবায়ক, তার দাপটে এলাকার লোকজনের বসবাস করাও মুসকিল হয়ে পড়েছে।
তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবার গৈদ্দারটেকে বসবাসরত এলাকার সকল শ্রেণির পেশার মানুষ এক হয়ে বাবুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দারুসসালাম থানাধীন ও ১০ নং ওয়ার্ড বাসীকে এই দখলদার ও চাদাঁবাজ সন্ত্রাসীর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য অভিযোগ করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আমরা ১০ নং ওয়ার্ডের চাকুরিজিবী, দোকানদার, ব্যাবসায়ী এবং প্রবাসী আমরা সবাই বিএনপির ভোটার ও বিএনপির অন্ধ সমর্থক।জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দারুসসালাম থানার যুগ্ম আহবায়ক বাবুল মিস্ত্রীর ছোট ভাই (বাতেন ভূমি দখলকারী) ও বাবুল মিস্ত্রীর ছেলে বাদল আওয়ামীলীগের নেতা এবং“সাবেক এমপি আসলামের” সন্ত্রাসী বাহিনী (১. শরীফুল ইসলাম সইনা) (২. আজাদ) (৩.মহাসীন) (৪. বিল্লাল) (৫. পলাশ) (৬. বাদল) সাবেক এমপি (নিখিল) এর মহিলা বিষয় সম্পাদক” (রিথী) প্রচার সম্পাদক দারুসসালাম থানা, ওরফে মাদক ব্যাবসায়ী “(রেহেনা) আওয়ামী নেতাদের ফর্মা (রিথি)”এরা আওয়ামী লীগের সৈরাচার সরকার এর দোসর (হেলমেট বাহিনি) এরা গাবতলি বাস কাউন্টার ও পুলিশ ফারিতে ভাঙ্গচুর করে। এবং বিএনপির নেতাকর্মী দের উপর”দেশী বিদেশি” অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
৫ই আগস্ট তাদের অবস্থান ছিল ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে বর্তমানে গাবতলী (গৈদ্দারটেক) এলাকাবাসীর জমি দখল ও দোকান পাট হতে চাদাঁ তোলে। এলাকাবাসী বাধা দিলে মিথ্যা মামলা ও মারধরের হুমকি প্রদান করে আসছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের কাছে ছবি, ভিডিও ফুটেজ আছে,যাহা প্রমানসহ দেওয়া হবে বলে পঁচাত্তর ডট টিভিকে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা আরো বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছি মৃত্যুর ভয় করিনি অথচ আজও আমরা এই বৈষম্য’র শিকার কেন?
বিষয়টি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র দারুসসালাম থানার আহ্বায়ক, ২০১৮ সালে ঢাকা – ১৪,সংসদ সদস্য মনোনীত প্রার্থী এস,এ, সিদ্দিক সাজুকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পরামর্শ প্রদান করে বলেন, দলের নাম ভাঙ্গীয়ে এসমস্ত অপকর্ম করার কোন সুযোগ নেই, সে যেই হোক না কেন। ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক (আমিনুল হক) কে অবগত করার জন্য বলেন,প্রয়োজনে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাধারণ জনগণকে দখলদার, চাদাঁবাজ ও সন্ত্রাসীর হাত থেকে মুক্ত করে এলাকাবাসীকে দলের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধও করেন তিনি।
সাবেক এমপি আসলামুল হকের মহিলা সম্পাদিকা রিথীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, আসছে পরের সংখ্যায়।
Leave a Reply